এলার্জি জাতীয় সমস্যা।

এলার্জি নামটি আমাদের কাছে এখন সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এই নামটি আমাদের কাছে এখন নিত্য দিনের মতই পরিচিত হয়ে গেছে। কারন মানুষের মাঝে এটি ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়েছে। একজন থেকে একজনের মাঝে খুব সহজেই এটি ছড়িয়ে যাচ্ছে।
ডাক্তাতের কাছে প্রত্যেকদিন এলার্জির রোগির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ঔষুধ খেয়েও পাচ্ছেন না অনেকে সমাধান।খুব সেন্সিটিভ এই সমস্যাটি নিয়ে অনেকে ভালো ভালো ডাক্তার দেখিয়েও পাচ্ছেন না কোনো কুল কিনারা। আমরা জানার চেষ্টা করবো এলার্জি রোগটা কী? এটি কিভাবে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং এটির সমাধান।
এলার্জি কী?
এলার্জি একটি চর্ম রোগ। যা আমাদের শরীরের উপরিভাগে থেকে থাকে। যার কারনে শরীরে একধরনের চুলকানি তৈরী হয় এবং ধীরে ধীরে তা প্রকোপ আকার ধারন করে থাকে।
কিভাবে এলার্জি থেকে দূরে থাকবেন
আমাদের কিছু সাবধানতা থেকেই হয়ত এলার্জি থেকে দূরে থাকা সম্ভব। নিম্নে কিছু বিষয় দেয়া হলো এই গুলো থেকে দূরে থাকলে আশা করা যায় এটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেনা।
- অবশ্যই ধুলোবালি থেকে দূরে থাকতে হবে। প্রয়োজনে বাইরে গেলে মাস্ক পড়ে বের হতে হবে।
- বেশি পরিমানে ঘ্রান যুক্ত সুগন্ধি ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে।
- ধুমপান পরিহার করুন।
- স্প্রে ব্যবহার করার সময় বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখুন কারন এটি বেশ ক্ষতিকর।
- ঠান্ডা বা শীতের সময় কাপড় ধুয়ে পরিষ্কার করে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
- বাসায় কুকুর,বিড়াল পোষাপ্রানী থেকে বিরত থাকুন।
- পুরাতন কোনো কাপড়,বই-পুস্তক পরিষ্কার করার সময় অবশ্যই মাস্ক বা নাক-মুখ ঢেকে নিন।
এই বিষয় গুলো খুব ভালোভাবে লক্ষ্য রেখে থাকতে পারলে এলার্জি রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
কি ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকবেন
কিছু কিছু খাবার আছে যা আমাদের শরীরে এলার্জির বাসা বাধার জন্যে খুব সাহায্য করে থাকে। তাই এই খাবার গুলো অবশ্যই বর্জন করতে হবে। যেমন, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, আপেল, ইলিশ মাছ, তৈলাক্ত মাছ, এবং গরুর মাংস। এসব খাবার এলার্জি বাড়িয়ে দেয় শরীরে।
কিছু বিষয় করতে পারেন
- প্রত্যেকদিন কিছু সময় হাটাহাটি এবং ব্যায়াম করুন।
- সবসময় চিন্তামুক্ত থাকুন।
- মাঝে মাঝে চেষ্টা করবেন জোরে জোরে শ্বাস নেয়ার।
- শ্বাসকষ্ট থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যান।
- এলার্জি বা এ্যাজমা থাকলে ভুলে যান এবং নিয়মিত ঔষুধ খান।
এটি বর্তমানে মানুষের খুব কমন একটি সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। তাই সুস্থ থাকুন সাবধান থাকুন।